আড়াইহাজার (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি:এক সন্তান মেহেদী হাসান (১২), বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মৃত্যুর পর আরেক সন্তান জান্নাতুল(৪)কে নিয়ে বাবা জহিরুল উধাও মায়ের আহাজারী।
সন্তানকে ফিরে পেতে চাঁদপুর নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০০ ধারায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা মিনু বেগম।
ঘটনার বিবরণে জানাযায় নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার জালাকান্দি গ্রামের মৃত আনয়ালের পুত্র জহিরুলের সাথে ২০০৫ সালে চাঁদপুর জেলার কচুয়া
থানার ডুমুড়িয়া এলাকার মিনুর বিবাহ হয়। মিনুর পরিবারের দাবি বিয়ের সময় মিনুর বাবা নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা স্বর্ণালংকার প্রদান করেন। বিয়ের পর যৌতুকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২ পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিলো বিয়ের কিছুদিন পর জহিরুল ও তার পরিবারের লোক জন মিনুর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করলে মেয়ের সূখ শান্তির কথা বিবেচনা করে ব্যাবসার জন্য নগদ সত্তর হাজার টাকা প্রদান করেন মিনুর বাবা । জহিরুল প্রাপ্ত অর্থ মাদক ব্যাবসা ও মাদক সেবনে ব্যায় করে ফেলে। পুনরায় যৌতুকের দাবিতে শারীরিক মনসিক নির্যাতন অব্যাহত থাকলে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী তাদের ডিভোর্স হয়। ১৩ বোছরের সংসার জীবনে তাদের পর্যায়ক্রমে ১ ছেলে ১ মেয়ের জন্মনেয় বর্তমানে মেহেদী হাসানের বয়স(১২) ও কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস এর বয়স ৪ বছর ৬ মাস।ডিভোর্সের পর জহিরুল ভবঘুরে প্রকৃতির ও মাদক সেবী হওয়ায় ২ সন্তানকে স্থানীয়
শালিশের মাধ্যমে মায়ের জিম্মায় দিয়ে দেয় স্থানীয় লোকজন। মেহেদী, জান্নাত নানা বাড়িতে স্কুলে পরাশুনা করে আসছিলো। বিগত ৩০ জুন জহিরুল নিজ সন্তানদের
দেখতে চাঁদপুরস্থ মিনুর বাবার বাড়ি যায় এবং কৌশলে ২ সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে এসে দাইরাদি এলাকায় জহিরুল তার বোনের বাড়িতে উঠে সে ভবঘুরে প্রকৃতির হওয়ায় কিছুদিন পর তাকে বাসা থেকে বের করে দেয় তার বোন। পাশেই একটি কক্ষ ভাড়া নেয় জহিরুল ছেলে মেহেদীক গোপালদী একটি মিষ্টির দোকানে কাজে দেয়। দাইরাদি এলাকায় একটি টেক্সটাইল মিলের টিনের চালে বিদ্যুৎ তারিক হয়ে মারা যায় ছেলেটি। মিনুর বাবা ঘটনা জানতে পেরে জহিরুলের সহিত যোগাযোগ করলে সন্তানদের ফেরৎদিতে বিভিন্ন টাল বাহানা করতে থাকে।৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ জহিরুল মিনুকে ফোনে
জানায় তাদের পুত্র মেহেদী হাসান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি। খবর পেয়ে মিনু ও তার বাবা সেদিন সেখানে যায়।এবং সেই রাতেই
পুত্র মেহেদী মারা যায়। এ সময় জহিরুল কন্যা সন্তানকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় এবং মিনুর বাবার কাছে টাকা দাবি করতে থাকে এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি
প্রদান করে। মিনু জানান জহিরুল খুবই ভয়ংকর প্রকৃতির লোক সে আমার সন্তানের বড ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি জানতে পারি আমার কন্যা জহিরুল ও তার পরিবারের
লোকের কাছেই আছে। আমি আশংকা করছি আমার শিশু কন্যা জান্নাতুল(৪) অযত্নে মাতৃস্নেহের অভাবে অবহেলায় অসুস্থ অবস্থায় আছে। আমার দৃড় বিশ্বাস তার জীবন
সংকটাপন্ন তাই আমি আমার সন্তান কে ফিরিয়ে দিতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আনিচুর রহমান মোল্লা জানান আমরা এ
সংক্রান্তে আদালতের একটি নির্দেশনা পেয়েছি শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।