রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: রূপগঞ্জে ১৫ গ্রামের বাসিন্দারা পলিথিনে তৈরী কম্প্রেসার দিয়ে ব্যাবহার করছেন গ্যাস
উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের তালাশকুর,খামারপাড়া, ও নগরপাড়া এলাকার বাসিন্দারা পলিথিনের তৈরী কম্প্রেসার ব্যাবহার করছেন।কেউ কেউ বলেন, ‘আমাদের গ্যাস দেওয়া হলে এগুলো ব্যবহার করবোনা, সারাদিনে গ্যাস থাকে নাজ তাই গভীর রাতে এ পলিথিনে গ্যাস ভরে রাখি। তা দিয়ে দিনের বেলায় রান্না করি। একবার গ্যাস ভরে রাখলে দুদিন রান্না করা যায়।
স্থানীয় ভাবে পলিথিন, রশি, পাইপ ও কিছু যন্ত্রপাতি দিয়েই তৈরী হচ্ছে এই ঝুকিরুর্ণ কম্প্রেসর।এটি বানাতে এক হাজার পাঁচশ টাকা খরচ হয়। রাতে যখন বেশি গ্যাস আসে তখন পাইপের একটা মুখ খুলে দিলে গ্যাস ভরে যায়। পুরো পলিথিন গ্যাসে ভরে গেলে আবার পাইপের মুখ বেঁধে রাখা হয়। সকালে চুলা জ্বালালে বেলুনের জমে থাকা গ্যাস দিয়ে রান্না করা যায়।’
এলাকাবাসী জানান, ২০১৫ সালের শুরুতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে অবৈধ গ্যাস সঞ্চালন লাইন টানা হয়। এ লাইন থেকে সংযোগ নিতে প্রতি বাড়ি থেকে এককালীন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। যারা গ্যাসের সংযোগ নিজের বাড়িতে নিয়ে ব্যবহার করছেন তারা এখনো বিল পরিশোধ করেননি। ফলে, গ্যাসের চাপ বাড়ালেও কেউ অভিযোগ জানাতে পারেন না। এজন্য ঝুঁকি জেনেও ১৫টি গ্রামের সাধারণ মানুষ কয়েক শতাধিক বাড়িতে এভাবে পলিথিনে গ্যাস সংরক্ষণ করে রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন।
রাত দুইটার দিকে গ্যাসের চাপ বেশী থাকে ,আবার ফজরের আজানের সময় চলে যায়।এভাবে গ্যাস ব্যাবহার করলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্বক দুর্ঘটনা।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সোনারগাঁও জোনাল বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মিজবাহ-উর-রহমান বলেন কায়েতপাড়া এলাকায় আমাদের বৈধ কোনো গ্যাস লাইন নেই, ‘এভাবে গ্যাস সংরক্ষণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যারা ব্যবহার করছে তা পুরোপুরি অবৈধ।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।