নিজস্ব প্রতিবেদক: নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার নুরালাপুর ইউনিয়নের শিমুলেরকান্দি দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের ছাত্র আনাফ কে বলাৎকার করে একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক নজরুল মিয়া (২৪)।আনাফ রাতে ঐ মাদ্রাসায় থেকেই পড়াশোনা করতো।
আনাফের সাথে আলাপ করে জানাযায় ওই শিক্ষক এক সপ্তাহ আগে রাতে আনাফকে মোবাইলে খারাপ ভিডিও দেখায় এবং বলে হাফেজ হতে হলে তোমাকেও আমার সাথে এগুলো করতে হবে, এগুলো করলে তোমার পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে, আসো তুমি আমার গালে চুমা দাও
আনাফ বলে আমি আপনাকে চুমা কেন দিবো? আমি এসব করব না! তখন সাথে সাথে হুজুর আনাফের গলা চেপে ধরে এবং তার গালে অনেকগুলো চড় থাপ্পড় মারে।
পরদিন মাদ্রাসা বন্ধ হলে আনাফ বাড়ি চলে যায় এবং সেদিন রাতেই আনাফ ঘুমের মধ্যে লাফিয়ে উঠে কাঁপতে থাকে, আনাফের গায়ে অনেক জ্বর এসে যায়।
আনাফের দাদী মনে করে আনাফের গায়ে হয় তো কোন খারাপ বাতাস লাগছে সকালে এই হুজুর আনাফকে পানি পড়া দেয় খাওয়ানোর জন্য
আনাফ এই হুজুরকে দেখেই তখন ভয়ে কাঁপতে থাকে।
আনাফ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আনাফকে নরসিংদী হাসপাতাল নিয়ে ডাক্তার দেখানো হয়।
আনাফের মা বলেন ১৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ৭ ঘটিকায় এই হুজুর আনাফের মায়ের মোবাইলে ফোন করে আনাফকে মাদ্রাসায় পাঠাতে বলে, আনাফকে নাকি পড়া মুখস্থ করাতে হবে, তখন আনাফের মা বলে আনাফ অনেক অসুস্থ কীভাবে পড়বে?
হুজুর আবার সকাল ৯ ঘটিকায় আনাফের মা’কে ফোন দিলে আনাফের ভাই আনন্দকে দিয়ে মাদ্রাসায় পাঠানো হয় এবং বলে আনাফ যেন হুজুরের সাথে দেখা করেই চলে আসে। কিন্তু হুজুর আনাফকে রেখে দিয়ে তার ভাই কে পাঠিয়ে দেয়। আনাফ একটু পরে যাবে তার সাথে কথা আছে এই বলে।
এদিকে ১১ টার সময় আনাফের মা হুজুরকে কল দিয়ে বলেন আনাফকে বাড়ি পাঠাচ্ছেন না কেন? তার তো ঔষধ খাওয়ার সময় হয়ে গেছে!!
আনাফ সকাল ১১:২০ মিনিটের সময় বাড়ি যাওয়ার পর আনাফের মা লক্ষ্য করে দেখেন আনাফ কাঁপতেছে, শরীরও অনেক দুর্বল এবং প্রচুর ঘামতেছে তখন আনাফের মা তার গায়ের পাঞ্জাবি খুলে দিয়ে তার গায়ের ঘাম মুছতে গিয়ে দেখে তার পায়জামায় রক্ত লেগে আছে।
আনাফের মা সাথে সাথে পায়জামা খুলে দেখে আনাফের পায়ুপথ ছিন্নভিন্ন হয়ে আছে, আনাফ তখন কান্না করে তার মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বললে আনাফের মা সাথে সাথে ঐ হুজুরকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে ঐ মাদ্রাসার বড় হুজুর আব্দুল হান্নান আনাফকে উচ্চস্বরে ধমক দিয়ে বলে এই বেয়াদব ছেলে তুমি এই কথা
তোমার মা’কে কেন বলেছ? আমাকে বললে না কেন? মাকে কেন বলতে গেলে?
ঘটনার দিন বড় হুজুর এবং ঐ মাদ্রাসার কমিটির সদস্য নীল মিয়া এই হুজুরের বিচার করবে বলে হুজুরকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং আনাফের পিতা ইয়াকুবকে মামলা না করার জন্য অনুরোধ জানান ।এব্যাপারে ছাত্রের পিতা ইয়াকুব বাদী হয়ে মোঃ নজরুল ইসলাম(২৪), পিতাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস
গ্রাম: কলাগাছিয়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ কে আসামী করে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৪ তাং ১৭/৪/২১ইং)।
মাধবদী থানার এস আই বেলাল উদ্দিন কৌশলে তাকে গ্রেফতার করে।মাধবদী থানায় আটক রাখা হয়েছে।