আড়াইহাজার প্রতিনিধি: সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই)। সকাল থেক প্রশাসনের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া লোকের সংখ্যাও কম। তবে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে রিকশা, জরুরী পণ্য সরবরাহ ছাড়াও কিছু ব্যাক্তিগত গাড়ী চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে মানুষকে ঘরে রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনীসহ আইন শৃংঙ্খলাবাহীনির সদস্যরা বিভিন্ন সড়কে দিনভর টহল থাকায় আঞ্চলিক সড়কে নির্দেশন উপেক্ষা করে বের হওয়া মানুষকে নির্বাহী হাকিমের সামনে পরতে হয়েছে।উপজেলার গেপালদী বাজারে দেকান খোলা রাখায় বেশ কয়েকজন ব্যাবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। গেপালদী বাজারে নাজিমুদ্দিন হোটেল মালিক কে ট.৭০০০, ঔষধ ব্যবসায়ী মনির মেডিক্যাল এর কর্ণধার মনির হোসেনকে অবৈধ ঔষধ রাখার অপরাধে ট. ২০০০ ও ফুডকালার বিক্রয়ের অপরাধে আড়াইহাজার বাজারের ব্যাবসায়ী লিটনকে ৩৫০০ টাকা জরিমানা ও কথিত ফুডকালার জব্দ করা সহ বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছথেকে মোট ১২৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এদিকে চলমান লকডাউন বাস্তবায়ন করতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে সসকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত উপজেলার পৌর এলাকার কাচাঁ বাজার সহ বিভিন্ন মার্কেট বাজার গুলোতে অভিযান চালানো হয়। আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেক চনপাড়া চেকপোষ্টে যানবাহন দিনভর তৎপরতা চালায়। এসময় জরুরী পন্যবাহী গাড়ি ব্যাতিত ব্যাক্তিগত গাড়ী চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপে কাজ করে তারা।এসময় আইনশৃংখলা বাহিনির পাশাপাশি প্রেস ক্লাব সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক গন উপস্থিত ছিলেন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া মানুষদের বাড়ি ফিরিয়ে দেয়া ও ব্যাক্তিগত গাড়ী ফিরিয়ে দেয়া হয়। উপজেলা সদর ও গোপালদী পৌর এলাকায় কঠোর ভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন হলেও গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতে লকডাউনের তেমন প্রভাব দেখা যায়নি।