আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিবাহের প্রলোভনে মামা কর্তৃক ভাগ্নি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার ৭ দিন পার হয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে মামলাটি রেকর্ড করছেনা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ব্রহ্মন্দী ইউনিয়নের শিলমান্দী গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই গ্রামের আব্দুর হান্নানের মেয়ে ধর্ষিতা (১৪) একই গ্রামে তার নানার বাড়ীতে থেকে স্থানীয় বদরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। সেই সুবাদে চাচাতো মামা একই গ্রামের আলতাবের পুত্র সাইদুল (২৫) এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরে সাইদুল তাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায় এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এতে ধর্ষিতা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গত ২৯ এপ্রিল রাতে সাইদুল তাকে তার বাড়ীতে ডেকে নিয়ে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। ধর্ষিতা তাতে রাজী না হলে সাইদুল তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষিতা প্রেমিক সাইদুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাইদুল তাকে বিবাহ করবে বলে জানিয়ে গর্ভপাত ঘটাতে বলে। প্রেমিকের কথামত ধর্ষিতা গর্ভপাত ঘটালেও পরে বিয়ে করতে তালবাহানা করে। পরে ধর্ষিতা বিষয়টি তার পরিবারের কাছে প্রকাশ করলে এলাকায় বেশ কয়েকবার দেনদরবার করে সাইদুলকে বিবাহে রাজী করাতে পারেনি। পরে গত প্রায় ৭ দিন আগে ধর্ষিতার পিতা আব্দুর হান্নান বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ার ৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি।
আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, মামলার দরখাস্তে ত্রুটি থাকায় তা সংশোধন করে মামলাটি রেকর্রড করতে বিলম্ব হচ্ছে।