নরসিংদী মাধবদী প্রতিনিধি ঃমাধবদী থানাধীন কাঠালিয়া ইউনিয়নের শ্যামরায় কান্দি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে দিবালোকে আলী হোসেন নামে এক ব্যাবসায়ীকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্হানে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় ।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। আলী হোসেন এ্খন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে,প্রায় ৭ দিন যাবৎ আইসিউতে আছে,এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনী। এ ঘটনায় মাধবদী থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হলে দুজনকে আটক করেছিল পুলিশ ,এর মধ্যে একজন জামিনে ছাড়া পেয়ে বাদীর পরিবার কে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আহতের পরিবার, বাকি আসামিদের গ্রেফতার না হওয়া এবং একজনের জামিন হওয়া আবারো হামলার আতঙ্কে আছে আহত পরিবারটি।।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় গত ৯ অক্টোবর কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী আলী হোসেনের সাথে একই গ্রামের মোহাম্মদ সুলতান এর পুত্র আলী আহমেদ ও আলী মোল্লার সাথে আতশবাজি ফুটানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় একপর্যায়ে রাস্তার মধ্যে প্রকাশ্যে আতশবাজি ফোটাচ্ছে দেখে আলী হোসেন বাধা প্রদান করলে আলী আহমেদ ও আলী মোল্লা তাদের সহযোগীদের নিয়ে প্রথমে আলী হোসেনের দোকানে ও পরে তার ওপর হামলা করে এবং তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রড, মাইরের কাঠ ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং তার দোকানে লুটপাট করে এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে ঢাকা কলেজ মেডিকেল রেফার করেন, এমতাবস্থায় দীর্ঘ ৬দিন আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে তবে ডাক্তার জানায় তার জীবন সংকটাপন্ন এ ঘটনায় আহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ রাহেলা বেগম ১১জন নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ জন আসামি করে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন আসামিরা হলেন আলী আহমেদ, আলী মোল্লা, এবাদুল্লাহ, ওসমান, সালাউদ্দিন, মতিউর, রুবেল, কাউসার, কাবিল, রশিদ, ও লতিফ।
আহতের পরিবার জানায় বাকি আসামি গুলো এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় এবং দুজনের মধ্যে একজনকে মহামান্য কোর্ট জামিন প্রদান করায় আমরা খুব আতঙ্কে আছি যেকোনো সময় আমাদের আবারো উপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং আমার স্বামীর নির্দোষ তাদের সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি এ ব্যাপারে মাধবদী থানা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর ইলিয়াস সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।।