আড়াইহাজার প্রতিনিধি:আড়াইহাজারে আদরের পোষা কুকুরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আপন দুই বোনের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যোর সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা সদর পৌরসভার মুকুন্দী গ্রামের গোলাম মোস্তাফার দুই মেয়ের আদরের পোষা কুকুর “টাইগার” অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার শোক সইতে না পেরে দুই বোন শাহানা (১৭) ও পারুল (১৬)এক সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে ও নিজেদের হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। শনিবার সন্ধ্যায় দুই বোন চিরকুটে লিখে যান, আমাদের মৃত্যুর জন্য বাবা কিংবা দাদী দায়ি নয়। আমাদের সাথে যেন টাইগারকেও কবরে রাখা হয়। তবে ঘটনার পর পর তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও এখনো শংকা কাটেনি। আত্মহনন চেষ্টা কারী দুই বোন হচ্ছেন ওই গ্রামের গোলাম মোস্তফার দুই মেয়ে যথাক্রমে ঘটনার পর থেকে ওই বাড়ীর বাইরে উৎসুক নারী পুরুষের ভীর লক্ষ্যকরা গেছে।
জানা গেছে, অতিরিক্ত রক্ষনশীল হওয়ায় আপন ভাগিনার সাথে কথা বলার অপরাধে শাহানা ও পারুলের বাবা গোলাম মোস্তফা তার প্রথম স্ত্রী কোহিনুর আক্তারকে তালাক দেন। পরে অন্যত্র বিয়ে করলে তাদের ঘরে দুটি মেয়ে জন্ম নেয়। তারাই হলেন শাহানা ও পারুল। কিন্তু মেয়ে দুটি জন্ম নেয়ার পর পরই দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথেও বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। শাহানা ও পারুলকে নিদ্রিষ্ট গন্ডির মধ্যে আটকে রেখে গোলাম মোস্তফা তাদেরকে বড় করেন। তার বাড়ীতে বাইরের কোন লোকজন যেতে পারতোনা। মেয়েদেরকে কারো সাথে কথা বলতে দিতেননা। তাই নিঃসঙ্গতা কাটাতে তা পোষা কুকুর ”টাইগার“কে পুষতেন। ৩/৪ দিন আগে টাইগার নামের কুকুরটি অসুস্থ হয়ে মারা যায়। তখন এক বোন মৃত কুকুরটিকে বাইরে ফেলে দিয়ে আসতে বললেও অপর বোন তা করতে দেননি। শনিবার সন্ধ্যায় কুকুরের মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে দুই বোন এক সঙ্গে উল্লেখিত চিরকুট লিখে রেখে অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ সেবন করে এবং তারা নিজেরাই নিজেদের হাত কেটে অত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্ত শুন্যতার কারণে তাদের অবস্থা গুরুতর বিধায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে মৃত কুকুরটি নিয়ে আসতে গেলে তাদের লিখা চিরকুটটি পান।