নিজস্ব সংবাদদাতা: আড়াইহাজারে সমবায় সমিতির ঋনের টাকা দিতে ব্যার্থ হওয়ায় জোরপুর্বক বাড়ী সহ সমস্ত সম্প্রতি লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে। উপজেলার মেঘনা বেষ্টিত চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া এলাকার “কালাপাহাড়িয়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি “ র ঋনের টাকা দিতে ব্যার্থ হলে ভিটে মাটি লিখে নেয় তারা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের কালাপাহাড়িয়া গ্রামের মুন্না নামের এক যুবক জানান, তিনি ওই সমিতি থেকে কিস্তিতে নগদ তিন লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে থেকে দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। বাকী দেড় লাখ টাকা দিতে না পাড়ায় সমিতি কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মেঘনা থানার ঝাউচর এলাকায় গিয়ে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। গত ১১ এপ্রিল সমিতির মালিক সুজন, শাহিন,ওসমান, শাহ আলী, মোক্তার গিয়ে মুন্না এবং তার পিতা ফজর আলীকে কৌশলে আড়াইহাজারে নিয়ে আসে। পরে মুন্নাকে জিম্মি ও মার ধর করে তার পিতা ফজর আলীকে বিষয়টির সুরাহার জন্য দেড় শতাংশ জমি লিখে দিতে বলে। ফজর আলী বিপদে পড়ে এবং ছেলের জীবন বাঁচাতে তাতে রাজী হলে তারা প্রতারণার মাধ্যমে দেড় শতাংশ সম্পত্তির স্থলে দশ শতাংশ নাল জমি এবং সাড়ে তিন শতাংশ বাড়ী সমিতির মালিক শাহ আলী এবং সুজনের নামে লিখে নিয়ে তা রেজিষ্ট্রি করে ফেলে। পরে ফজর আলী সন্দেহ বশত সম্পাদিত দলিলের নকল তুলে দেখতে পান যে তার সমস্ত সম্পত্তি তারা লিখে নিয়েছে। ফজর আলী জানান,দলিল লিখক মুহিতুল ইসলাম হিরুর সহযোগিতায় তারা এ অসৎ কাজটি করতে পেরেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সঙ্গে মোবাইলে আলাপ করার জন্য ফোন করা হলে তারা বার বার ফোনের সংযোগ কেটে দেয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দলিল লিখক মুহিতুল ইসলাম হিরু বলেন, আমি দাতা গ্রহীতার বক্তব্য অনুসারে দলিলের বয়ান লিখেছি।
কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফাইজুল হক ডালিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ রকম কোন অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ভুক্তভুগি ফজর আলী এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমুহের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।