নিজস্ব প্রতিবেদক:আড়াইহাজারে ইরি বোরো স্কীমের মেশিন সামগ্রী, পোল্ট্রি ফার্মের টিউবয়েল এমন কি মসজিদ নির্মাণের সামগ্রীও চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। বেশ কিছু দিন যাবত এ সমস্ত বাইরে থাকা জিনিস পত্র চুরি হওয়ার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার সেচ প্রকল্প ও পোল্ট্রি ফার্মের মালিকেরা। ব্যহত হচ্ছে সেচ কাজ। গত সপ্তাহে আড়াইহাজরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক মোটর, টিউবয়েল পোল্ট্রি ফার্মে ব্যাবহৃত যন্ত্রপাতি এবং বাইরে থাকা মসজিদ নির্মাণের সামগ্রী ও চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার লাখুপুরার ফসলী জমি ও পাশাপাশি অবস্থিত ঝাউগড়ার ফসলী জমি থেকে সেচ স্কীম মালিক রুহুল আমিনের পৃথক দুটি সেচ প্রকল্প থেকে সেচের কাজে ব্যবহৃত দুটি বৈদ্যুতিক মোটর চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোরেরা। সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার জামাল জানান, রাত ১২টার দিকে তিনি দুটি মেশিন বন্ধ করে বাড়ীতে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন তার সেচ প্রকল্পের ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক মোটর দুটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে।
এ ছাড়া একই রাতে ঝাউগড়া দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ থেকে কাজ শেষে বাইরে ফেলে রাখা বেশ কিছু কাটা ( খন্ডিত) রড রাতের আঁধারে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের পোল্ট্রি ফার্ম মালিক আঃ রহমান জানান, কয়েক দিন আগে তার পোল্ট্রি ফার্মে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি মুরগীর খাঁচা রাতের আঁধারে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। একই সময়ে একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের পোল্ট্রি ফার্মের একটি টিউিবয়েল চুরি হয়। চুরি হয়েছে একই গ্রামের হাসমত আলীর সেচ প্রকল্পের একটি টিউবয়েল। একই গ্রামের আঃ ছাত্তারের ও সেচ প্রকল্পের একটি টিউবয়েল চুরি যায়। এর আগে তাঁতিপাড়া কলাগাছিয়া মসজিদ ই নূর এর ব্যবহৃত একটি বৈদ্যুতিক মোটর কে বা কারা চুরি কয়ে নিয়ে গেছে।
এলাকাবাসি ধারণা করছেন, এলাকার মাদকাসক্ত বখাটেরা নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য এ সমস্ত চুরির ঘটনা গুলো ঘটিয়ে থাকতে পারে।
আড়াইহাজার থানায় শনিবার ডিউটিরত ডিউটি অফিসার এস আই সাদিকুল জানান, এ সমস্ত চুরির ঘটনাগুলোর বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।