আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর আড়াইহাজার জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতায় জরিমানার ৩ লাখ টাকা, একজনের দায় অন্য জনের ঘাঁড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জরিমানার টাকা আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে অন্যায় ভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে অপর দুটি মিটারের বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হয়ে দীর্ঘ দু মাস যাবত কষ্ট ভোগ করছেন ভুক্তভোগীর বৃদ্ধা মা ও তার পুরো পরিবার।
উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উৎরাপুর গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীন জানান, তার নিজ গ্রামের আলী আজগরের গ্যারেজে কয়েকটি অটো নিয়মিত চার্জ দিয়ে আসছিলেন তিনি। অটো প্রতি ২০ টাকা করে চার্জ নিয়ে থাকেন আলী আজগর। ওই গ্যারেজে যে বিদ্যুৎ মিটার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে সে গুলোর একটি গ্যারেজ মালিক আলী আজগরের নামে এবং অপরটি তার স্ত্রী মোরছালিনার নামে। গ্যারেজ মালিক ওই মিটার গুলোর পাশাপাশি অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছিলেন। বিষয়টি সম্প্রতি বিদ্যুৎ কর্র্তপক্ষের নজরে আসলে মিটার গুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।যথাক্রমে মিটার নং
আলী আজগর- ৪০১১০০১৮০২২ এবং মোরছালিন- ৪০১১০০১৮০৮০)। প্রকৃত পক্ষে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য মিটার মালিক দায়ি থাকার কথা থাকলেও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে অভিযুক্ত মিটার মালিকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে গ্যারেজের অটো চার্জ দেয়ার কাষ্টমার জয়নাল আবেদীন কে তিন লাখ তিন হাজার টাকা জরিমানার কথা মৌখিক ভাবে জানায়। তিনি সেই টাকা না দিতে চাইলে গত দু মাস আগে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জয়নাল আবেদীনের বাড়ীর দুটি আবাসিক মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় মিটার নং- যথাক্রমে জয়নাল আবেদীন-৪০১১০০২৭৪২৩ এবং ময়না- ৪০৩১০০১৮৯১৯।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জয়নাল অবেদীন ওই অফিসের বর্তমান ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বরাবরে ৪ এপ্রিল পূণ:তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ৫ এপ্রিল বিকেলে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন অফিস পিয়নকে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠান। ঘটনা স্থলে গিয়ে তদন্তরত কর্মকর্তা বৃন্দ কোন প্রকার তদন্ত না করে জয়নাল অবেদীনের নিকট বিষয়টি সমাধান করে দিবেন বলে পিয়ন মোহসীনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীন। তা ছাড়া ওই স্থানে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে একই ঘরে পৃথক নামে তিনটি মিটার স্থাপন করার ও অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন ডি জি এম।
এ ব্যাপারে ওই অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ( ডি জি এম) মোঃ আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ ভাবে টাকা দাবীর বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক জনের দায়ভার অন্য জনের উপর চাপানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডি জি এম বলেন, আমি এ অফিসে নতুন। সাবেক ডিজিএম সৈয়দা ফারজানা ইয়াসমিন এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন তার উপর আমার কথা বলার কোন সুযোগ নাই।