নিজস্ব প্রতিবেদক: আড়াইহাজারে এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগীর পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান,তার মেয়ে আতাদী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিল পার্শ্ববর্তী দাসিরদিয়া গ্রামের বখাটে ইমরান। গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পিছু নেয় সে। এ সময় তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। উক্তত্য করতে করতে মেয়েটির বাড়ি পর্যন্ত চলে আসে বখাটে ও তার সহযোগিরা। মেয়ের চাচাত ভাই আরমান প্রতিবাদ করলে তার ওপর হামলা চালায় বখাটে ইমরান ও তার সহযোগীরা। তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে দেখে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয় । এঘটনায় সোমবার দুপুরে তিনজনের নাম উল্লেখ করে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন স্কুল ছাত্রীর বাবা।ওই ছাত্রীর বাবা আরও জানান, অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় মাতাব্বররা বিচার সালিশ করে দেয়ার কথা বলে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায়ে উচিৎপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনসহ কতিপয় মাতাব্বরদের চাপের মুখে শিক্ষার্থীর পরিবারকে বাধ্য করে সোমবার রাতে সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত বখাটেকে জুতাপেটা করা হয়েছে বলে জানাযায়। সন্ধা ৭টায় সালিশ শুরু হয়ে চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। বখাটের ছেলের এক আত্মীয় বৈঠকে অভিযুক্ত করে ইমরানকে জুতা পেটা করেন।
এ ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বলেন , বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উচিৎপুরা ইউনিয়নের সদস্য আলমগীর, সাবেক সদস্য শাহ আলমসহ অন্যান্য স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
গ্রাম্য মাতাব্বরদের প্রহসনের সালিশ বৈঠক নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি আনিছুর রহমান মোল্লা জানান, ভুক্তভোগী পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। থানা থেকে একজন অফিসারকে এবিষয়ে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মামলার এজাহারে বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দিতে হয় বিধায় তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা দেয়নি। তিনি আরও জানান, সালিশের বিষয় তার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।