স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ একটি বানিজ্যিক ঘনবসতি পুর্ণ এলাকা হওয়ায় বহুদিন ধরে সক্রিয় দেহ ব্যবসায়ী ব্ল্যাক মেইলিং চক্র।
সিদ্ধিরগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড থেকে ১০ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত পুরোটাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আওতাধীন এখানে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহত্তর আদমজী পাটকল ভেঙে বর্তমানে রপ্তানি মুখর ইপিজেড করায় শ্রমিকের সংখ্যা চারগুণ বেড়ে গেছে। দেশের প্রায় ৬৪ জেলার মানুষের বসবাস এই এই এলাকায়। এই মানুষকে পুঁজি করে দীর্ঘদিন যাবত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দেহ ব্যবসায়ী ব্ল্যাক মেইলিং চক্র।
তথ্য সূত্রে জানা যায় সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাং রোড এলাকায় ভূমি পল্লী আবাসনে ফ্ল্যাট রুম ভাড়া নিয়ে আয়না(২৩) মৌসুমি (২৫)জারা (২৪) ত্বন্বী (২৩) দের দিয়ে মোবাইলে ইমু, হুয়াসএ্যাপ দিয়ে খদ্দর সংগ্রহ করে এই দেহ ব্যবসায়ী ব্ল্যাক মেইলিং গ্রুপ। এরপর বিভিন্ন কলা কৌশলে ইমু হুয়াসএ্যাপে নিজের দেহকে প্রেজেন্ট করে নিয়ে আসে ভাড়া কৃত ফ্ল্যাট রুমে তারপর চাহিদা পূরণে বিশেষ মূর্হতে হাজির হয় এই চক্রের ছেলে গ্রুপ রনি, রিপন, রাসেল, রিপন ওরফে মাউচ্ছা রিপন, তারপর শুরু হয় মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও শারিরীক নির্যাতন সহ প্রান নাশের হুমকি।
আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যেরচর গ্রামের শফিক(ছদ্ম নাম)জানান আমার শশুর বাড়ি সিদ্ধিরগঞ্জ ক্যানেল পাড় সেই সুবাদে পরচিয় আয়না মৌসুমি দুই বোনের সাথে হঠাৎ ইমুতে কল দেয় আমাকে তারপর থেকেই অন্তরঙ্গ কথা বলতে শুরু করে। হঠাৎ একদিন তার বাসায় দাওয়াত দেয় আমাকে তারপরই ঘরের দরজা বন্ধ করে ভিডিও ভাইরাল করে দিবে বলে এবং শারিরীক নির্যাতন করে প্রান নাশের হুমকি দেয়। তারপর শশুর বাড়ি থেকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে আসলে ছেড়ে দেয় আমাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ ও করেছি।
আদমজী কাঁচা বাজারের চাউল ব্যবসায়ী করিম (ছদ্মনাম) বলেন আমার নাম্বার কিভাবে সংগ্রহ করলো জানিনা হঠাৎ একদিন এক মহিলা আমাকে ইমুতে কল দিলো তারপর থেকে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গিতে কথা বলা এর আমাকে দেখা করতে বলে তাদের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে বলে সব খোল ভিডিও ধারণ করবো। আমি খুলতে না চাইলে আমাকে কাঠ দিয়ে বেধরক মারধর করে পরে ভিডিও তৈরি করে বলে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে বল নাইলে ভাইরাল করে দিবো। পরে আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও তাৎক্ষণিকভাবে ৪০ হাজার টাকা এনে দিলে কোন রকম প্রান ভিক্ষা দেয় আমাকে।
বন্দর, মদনপুর দেওয়ানবাগের তেল ও ভাঙ্গারী ব্যাবসায়ী আবুল(ছদ্ম নাম) বলেন হঠাৎ চিটাগাং রোডে এক মহিলার সাথে ধাক্কা খেলাম এর মহিলা আমাকে চোখে চোখে রেখে সম্পর্ক গড়ে নিল আমার মোবাইল নাম্বারটা চাইলো তা-ও দিলাম তারপর হুয়াসএ্যাপে কথা হঠাৎ আমাকে তার সাথে দেখা করতে বলে। তার বাসায় সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি এলাকায় ওখানে গেলাম তারপর দেখি কিছু পুরুষ মানুষ এসে ঘিরে ফেললো রুমের ভিতর। তারপর আমাকে অমানবিক ভাবে মারধর করতে শুরু করলো মহিলা নিজেই আমার শরিরের পুরো জামা কাপড় খোলে ফেললো আমি হাতজোড় করে হাউমাউ করে কান্না কাটি করেও রেহাই পাইনি। এই চক্রের কাছ থেকে ভিডিও ভাইরাল করে দিবো বলে আমার মোবাইল ফোন ও বিকাশে আনা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ব্ল্যাক মেইলিং গ্রুপ।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায় মিজমিজি ক্যানাল পাড় এলাকার শফি প্রধান ও মাতা হাসি বেগমের মেয়ে আয়না আক্তার (২৩) তার বোন মৌসুমি(২৫) স্বামী রনি ডেমরা কোনাপাড়া থেকে আসা জারা (২৪) শনি আখড়া থেকে আসা ত্বন্বী ও তার বিশস্ত সহযোগী রাসেল চিটাগাং রোডের মাউচ্ছা রিপন এদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)এ একাদিক মামলা থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী, কখনো হিরাঝিল,আবার পাইনাদি মিজমিজি সিদ্ধিরগঞ্জ পুল সহ বিভিন্ন স্থানে রমরমা ব্ল্যাক মেইলিং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপ জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন আমরা এই চক্রকে ধরার জন্য কাজ করছি কাজ অব্যহত থাকবে।