মামুনুল হকের ভালো-মন্দ বিচার পাঠকদের কাছেই ছেরে দিলাম।কিন্তু সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্ট এবং কল রেকর্ডিং নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আমরা আড়াল হয়ে যাচ্ছে।
১। যারা সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্ট গিয়েছেন তারা ভালোভাবেই জেনে থাকবেন যে, এটি অত্যন্ত নিরাপত্তাবেষ্টিত একটি জায়গা। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা পার করে আপনাকে এই রিসোর্টে ঢুকতে হয়। নারায়ণগঞ্জের মধ্যে অন্যতম লাক্সারিয়াস রিসোর্ট এই সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্ট। মামুনুল হক যদি ৫০১ নাম্বার রুমে ওঠে থাকেন তবে তিনি পঞ্চম তলায় অবস্থান করছিলেন। পঞ্চম তলায় যেতে হলে আপনাকে ৩ স্তরের নিরাপত্তা পাড় হয়ে যেতে হবে। যেহেতু হোটেল হিসেবে আবাসিক লাইসেন্স এর আওতায় এই রিসোর্ট পরিচালিত হয়ে থাকে, এখানেও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে আপনার আইডি কার্ড দিয়েই এন্ট্রি নিতে হবে। আপনি যেহেতু সমস্ত কিছু মেনেই হোটেলে এন্ট্রি নিবেন, সেহেতু তখন থেকে ৩ তারকা রিসোর্টের টার্মস অনুযায়ী আপনাকে রিসোর্ট নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। মামুনুল হক বা অন্য যে কেউ হোক না কেনো, ক্রিমিনাল একটিভিটি না ঘটলে কোন অবস্থায়ই এখানে সাংবাদিক কিংবা পুলিশ আসার কথা নয়। এমনকি পুলিশ কিংবা সাংবাদিক আসলেও ওদেরকে রুমে ঢুকতে দেওয়ার কথা নয়। রুমে ঢুকার জন্য স্পেসিফিক এবং গুরুতর অভিযোগ থাকার দরকার রয়েছে। এখন কথা হচ্ছে এই অভিযোগটা করলো কে? হোটেল কর্তৃপক্ষ নাকি হোটেলের ভিতরে অবস্থান করা অন্য কেউ? কোন অভিযোগের ভিত্তিতে এতগুলি সাংবাদিক ও পুলিশ একটা প্রাইভেসি সম্বলিত রুমে প্রবেশ করলো? এটাতো বনানীর ওভারব্রিজের নিচের চিপাগলি নয় যে মন চাইলো, ঢুকে গেলেন! খেয়াল করুন এটি তিন তারকা নিরাপত্তাবেষ্টনী ওয়ালা রিসোর্ট।
হোটেল কর্তৃপক্ষ কি হিসেবে অভিযোগ করে থাকতে পারে? আমাদের এখানে মামুনুল হক সাহেব এসেছে একটি মহিলা নিয়ে, আপনারা ধরে নিয়ে যান! এটা তো হোটেল কর্তেপক্ষের টার্মস এর সম্পূর্ন লঙ্ঘন। আর হোটেলের ভিতরে অবস্থান করা অন্য কেউ অভিযোগ করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ কানে নিবে কেনো। হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সব ধরনের প্রমাণ রয়েছে। সেখানে সরাসরি রুমের ভিতরে কোন অধিকারে হোটেল কর্তৃপক্ষ ঢুকতে দিলো সেটি বোধগম্য নয়।
প্রাইভেসির সর্বোচ্চ লংঘন করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এ দায় কোনো অবস্থায়ই হোটেল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।
২। দ্বিতীয়টি বিষয়টি আরো বেশি এলার্মিং মামুনুল হক সাহেব তার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন। এই কল রেকর্ড মামুনুল সাহেব কিংবা তার স্ত্রী রেকর্ড করে কাউকে দেয়নি। তাহলে এই রেকর্ডটি কিভাবে হলো। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, এটি কোন সাধারণ বিষয় নয়। এটি সম্পূর্ণভাবে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং সকলের জন্যই উদ্বেগজনক বিষয়। কোনো অবস্থায়ই এটি সমর্থনযোগ্য নয়। টেলিফোন কোম্পানি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, কিংবা অন্য কারো অধিকার নেই কারো ব্যক্তিগত কল রেকর্ড করার। কারো কল রেকর্ড খুঁজে বের করার প্রয়োজন হলে বিশেষ অভিযোগসহ তদন্ত সাপেক্ষে টেলিফোন কোম্পানি থেকে সেটা নেওয়া আইনসিদ্ধ। এছাড়া মামুনুল হকের ব্যাক্তিগত রেকর্ডিং প্রকাশ হওয়ার বিষয়ে প্রত্যেক নাগরিকের উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত।
-শামীম হাসান