আড়াইহাজার উপজেলাধীন উচিৎপুরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ও সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সবুজ এর নেতৃত্বে নির্বাচনের পরের দিন সাধারন মানুষের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ন্যাক্যারজনক এ অতর্কিত হামলায় এ দুজন ছাড়াও অংশ নেয় কাশেম, জয়নাল, নাজির, মাহাবুর, সেলিম, আলম, সায়েরা, পারভীন, সারমিন, খলিল ও গোলজার। ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব বিরোধের জের ধরে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রোশবশত ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য সাধারন মানুষের উপর এ হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় আতাদী বাজারের ফার্মেসী মালিক ফজলুল হক(৪৬) ও তার বড় ভাই হারুনূর রশিদ(৫০) আহত হয়েছে। পরবর্তীতে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী আলামিন এর বাড়িতে প্রবেশ করে তার অন্তসত্তা বউ তৈয়বা(২৩) কে ৫ ফলা টেটা দ্বারা টেটাবিদ্ব করে ও তার চাচাতো বোন কারিমা(২৮) কে একফলা বিশিষ্ট বল্লম দ্বারা বিদ্ব করে। পাশে থাকা বৃদ্বা রোকসানা বেগম(৬০) কে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এছাড়াও আরো আহতরা হলেন, এমরান(৪০), কামাল(৩৫), ইমদাদুল(৩০), আজিজুল(৫০)। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ১৫ জনকে আসামী করে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অত্র থানার ওসি আনিসুর রহমান মোল্লা জানান, “এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আসামী গ্রেফতারের জন্য চেষ্ঠা চালানো হচ্ছে।” উল্লেখ্য যে, মোহাম্মদ আলী মেম্বার বিগত সময়ে একাধিক বার গ্রামের সাধারন মানুষের উপর হামলা চালায়। সাবেক চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মোল্লার বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে মোহাম্মদ আলী মেম্বার (সাবেক)।
এদিকে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সাধারন সম্পাদক সবুজ খানকে তার পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে ১ম যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আল-আমিন কে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।