নরসিংদী(মাধবদী)প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ সদরের বঙ্গবন্ধু রোডের ১২৬ নং বাড়ির মৃত আলী আকবর এর মেয়ে নাজমা বেগম ওরফে শিলা(৪০) এই শিলার সাথে পারিবারিক ভাবেই প্রায় ১৮ বছর আগে বিয়ে হয় নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীন আমদিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বৈলাইন গ্রামের মৃত আবু বকর ছিদ্দিক এর বড় ছেলে আলমগীর(৪৫) এর সাথে। জানাযায়, বিয়ের চার-পাঁচ বছর পর থেকে শিলার বেপরোয়া চলাফেরার কারনে আলমগীর ও শিলার দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। নিজের বৌ এর উগ্র চলাফেরায় বাধা দিলে শিলা তার স্বামী ও শশুরবাড়ীর লোকদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করেন একপর্যায়ে শিলা নিজ থেকেই তার স্বামী আলমগীরকে ডিভোর্স দিয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে যান। তার দুই বছর পর শিলা-আলমগীর দম্পতির ছেলের কথা বলে এবং ভবিষ্যতে বেপরোয়া চলাফেরা করবেনা বলে আবারও আলমগীর এর সংসারে ফিরে আসেন। রূপবতী শিলার কেবল রুপই নয় তার রয়েছে প্রশাসনে এক অদৃশ্য অলৌকিক ক্ষমতা। আলমগীরের সংসারে ফিরে আসাটা যেনো ছিলো শিলার সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার মিশন সেই মিশনে তাকে সফলও বলা চলে। স্থানীয়রা জানায়, শিলা কাথায় কথায় পুলিশ নিয়ে আসে পুলিশ কার দোষ ত্রুটি সেটা দেখে না শিলা যা বলে এটাই ঘটে শিলার কথাই শেষ কথা তার সাথে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা সন্ত্রাসীরা তারাও এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। গত (১৪ নভেম্বর) সোমবার দিবাগত রাতে শিলার স্বামী আলমগীর এর নিজ বাড়িতে তারই ছোট ভাই (দেবর) আওলাদকে ডেকে নিয়ে রুমে আটক করে শিলা। এই ঘটনায় আলমগীরের বাড়িতে জড়ো হয় স্থানীয় এলাকাবাসী ও মাধবদী থানা পুলিশ। গ্রামের মানুষ এবং পুলিশের সামনে শিলা দাবী করে শিলা তার স্বামী আলমগীরকে আবারও ডিভোর্স দিয়েছে বলে দাবী করেন এবং তার দেবর আওলাদের সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানায় তার দেবর তাকে বিয়ে করতে হবে বলে দাবী করেন। এক পর্যায়ে শিলার দেবর শিলাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় আওলাদকে নিয়ে৷ যাওয়া হয় মাধবদী থানায়। থানায় নিয়ে দেবর আওলাদকে ধর্ষণের মামলার ভয় দেখিয়ে বাধ্য করেন শিলাকে বিয়ে করতে।(