আড়াইহাজার টাইমস নিউজ ডেস্ক: কেরাণীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি নয়, প্রয়োজনে থানা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ রবিবার (২৯ মে) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। জগন্নাথের নাম শুনলে আবেগ আপ্লুত হয়ে যায়। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই আমার রাজনীতির শুরু। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিছিল না গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন হতো না। আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো কোনো সমস্যা না।নতুন ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাড়ির কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে থানা বানিয়ে দেওয়া হবে সেখানে (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে)।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর সাধারণ জনতারা প্রাণ ফিরে পায়। সবাই বলতে থাকে শেখে বেটি এসেছে। আমাদের আর চিন্তা নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বদলে দিবেন বাংলাদেশকে। সত্যিই বদলে দিয়েছেন। মধ্যম আয়ের দেশে আমরা পরিণত হয়েছি। আমাদের মাথাপিছু আয় সাতাশশো ডলারের কাছাকাছি। এছাড়া আমরা কোভিড সফলভাবে মোকাবেলা করেছি। কোভিড মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের অবস্থান প্রথম। প্রধানমন্ত্রী যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন দেশের অগ্রগতি হতে থাকবে। নির্বাচনে আমরা কোন পেশি শক্তির উপর নির্ভর করি না। আগামী নির্বাচনে আমরা জনগনের ভোটেই আবার নির্বাচিত হব।
এসময় তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশংসা করে বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য পরিষ্কার রাজনীতি করে। তাদের কোন অন্যায় কাজে সুপারিশ করতে দেখিনি। তারা বর্তমান ছাত্রলীগের মডেল হিসেবে কাজ করছে।
এরআগে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হুসাইন বলেন, কেরাণীগঞ্জে কাজ করতে গিয়ে চোর ডাকাত সব কিছু নিয়ে যাচ্ছে। অনতি বিলম্বে কেরানীগঞ্জে জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে যদি কোন অপশক্তি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস করার ক্ষেত্রে বাধা দেয়, জবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুরান ঢাকার রাজপথ অচল করে দিবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক কাজী মো. নজিবুল্লাহ হিরু। তিনি বলেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে সারা বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন। বিশ্বের সৎ নেতাদের তিন চারজনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নাম পাওয়া যাবে। বর্তমানে আমাদের দেশকে পিছিয়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ছাত্র বন্ধুদের বলব এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডঃ ইমদাদুল হক বলেন, শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই আমরা আজ পদ্মা সেতু পেয়েছি, মেট্রোরেল পেয়েছি, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে। শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখান না স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। অন্য যেসমস্ত দল যারা স্বপ্নও দেখতে যানেন না তারা ৩১ বছর ক্ষমতায় থেকেও এমন কোনো উদাহরণ দেখাতে পারবেন না যে তারা বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন করেছেন।
এছাড়া আলোচনা সভায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজীর সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ। অন্যদিকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব কামরুল হাসান রিপন, সূত্রাপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাইদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।