আড়াইহাজার প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মসজিদ কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পম্পরের হামলার আহত হয়েছেন উভয় গ্রুপের অন্তত ২০জন। আহতদের মধ্যে অনেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। অন্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর স্থানীয় সাতগ্রাম ইউনিয়নের দেবৈই এলাকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল গ্রুপ ও ২নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুস ছাত্তার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতরা হলো ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, মসজিদের ইমাম মোবারক হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুস ছাত্তার, স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান, পারভেজ, লেয়াজউদ্দিন, পপ্পু, তাহের আলী ও আল-ইসলামসহ অন্তত ২০জন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল জানান, দেবৈই উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটিতে সম্প্রতি তার বাবা আবজর আলী সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। একই কমিটিতে দুলাল নামে এক ব্যক্তিকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। কমিটির উপদেষ্টা ২নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দস তাতে ক্ষিপ্ত হন। এনিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। এরই জেরে ফের তার লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুর করে অর্থসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ১১ জুন শুক্রবার জুম্মার নাজামের পর তাকে মসজিদের ভিতরে মারপিট করা হয়। পরে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডাইয়েরী করেছিলেন। এদিকে অভিযুক্ত ছাত্তার বলেন, আমাদের কোন লোক কারোর ওপর হামলা ও লুটপাট করেনি। আমাদের বিরুদ্ধে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল তার দলবল নিয়ে মসজিদের ভিতরে হামলা চালায়। এতে ইমামসহ ১০ থেকে ১২জন মুসল্লি আহত হয়েছেন। আড়াইহাজার থানার ওসি তদন্ত আনিসুর রহমান মোল্লা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে যায়নি। এসআই পলাশ কান্তি রায় গিয়ে ছিলেন। তবে এ ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। এসআই পলাশ কান্তি রায় বলেন, ফয়সাল তার দলবল নিয়ে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ হামলা চালায়। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।