আড়াইহাজার প্রতিনিধি: আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বাংলাদেশে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় আড়াইহাজার প্রান্ত থেকে বক্তব্য রাখেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, জাপানের সুমিতমো কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মাসাইউকি হিওদো, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলপ্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি যখন ১৯৫৪ সালে প্রথম মন্ত্রী হয়েছিলেন তখনই তিনি প্রথম এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে আবারও তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের অনেক অবদান রয়েছে। আমি জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে সাড়া বাংলাদেশে যে সকল জমিতে ফসল কম হয় এমন একশটি জায়গা ৬৪ জেলায় বেছে নেয়া হয়েছে। এতে মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
তিনি আরো বলেন, এখনে আমাদের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা রয়েছে। এখানে চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আমরা উপার্জন করছি। অনেক মানুষ এখানে কাজ করছে। সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রেখেই আমরা এ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে তুলছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে আমি যখন জাপানে যাই তখনই জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এছাড়াও জাপান আমাদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে দিচ্ছে। আমাদের পঞ্চাশ বছরের বন্ধুত্বের এটি একটি নিদর্শন। আমাদের বন্ধুত্ব অটুট। জাতির পিতা যখন জাপান গিয়েছিলেন তখনই তিনি পদ্মা সেতুসহ নানান বিষয়ে আলোচনা করেন। পদ্মা সেতু আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করেছি কিন্তু এখানে জাপানের অনেক অবদান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। আমাদের দুই দেশের পতাকার মাঝেও মিল রয়েছে। জাপানকে আমি বাংলাদেশের জনগনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
বেজা ২০১৯ সালে প্রস্তাবিত এলাকায় জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু করে। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৫০০ একর ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে সংযোগ সড়ক, রিটেনশন পন্ড, নিশ্চিত করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। নির্মাণ শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ সড়ক, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। এ পর্যন্ত কোম্পানির অনুকূলে ১৮০ একর উন্নত জমি বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনকে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তা শিল্প কারখানা তৈরির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অবশিষ্ট জমি খুব শীঘ্রই হস্তান্তর করা হবে।