আড়াইহাজার প্রতিনিধি:
আড়াইহাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার মাদরাসা মাঠে অবৈধ পশুর হাট বসিয়েছেন। কোন প্রকার পূর্বানুমুতি ছাড়াই উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের কদমতলী মাদ্রাসা মাঠে স্থায়ী ভাবে প্রতি বৃহষ্পতিবার পশুর হাট বসাচ্ছিলেন তিনি। গত গত ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে অবহিত তরা হলে তিনি গত ৪ আগষ্ট
ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে হাট বন্ধ করে দেন। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এখনো বসছে সেই হাট। বৃহষ্পতিবার (১৮ আগষ্ট) সরেজমিনে গিয়ে এ রকম চিত্রই দেখা গেছে। এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহকালে উপজেলা উপজেলার চেয়ারম্যান তথ্যসংগ্রহকারী সাংবাদিককে ফোন করে অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নিবেন বলে হুমকী দেন।
কদমতলী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল পরিচয়দানকারী মনির হোসেনের সঙ্গে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান হেলো সরকার জানেন।
এর সামান্য সময় পরেই রোকনউদ্দিন গার্লস কলেজের প্রভাষক রুহুল আমিন রতন তার তার ব্যবহৃত মুঠো ফোন থেকে কল দিয়ে যায়াযায়দিন পত্রিকার আড়াইহাজার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রানাকে বলেন যে, আপনি উপজেলা চেয়ারম্যনের সাথে কথা বলেন। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হ্যালো সরকার ফোন ধরেই কথা বলার কোন সুযোগ না দিয়ে ইচ্ছামত অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন এবং তিনি বলেন, আমি হ্যালো সরকার, আমি কি করতে পারি জানিস? তিনি সাংবাদিকদেরকে দেখে নিবেন বলে হুমকী প্রদান করেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ গরুর হাটের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত সরকারী ভাবে লিখিত কোন অনুমতি নাই।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাবের সদস্যরা তাৎক্ষণিক ভাবে জরুরী সভা ডেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।