মাধবদী সংবাদদাতাঃ স্বাস্থ্য সেবা মেডিকেল সেন্টার এন্ড হসপিটাল এর বিরোদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। মাধবদী ফায়ার সার্ভিস রোডের ভুইয়া কমপ্লেক্সে অবস্থিত স্বাস্থ্য সেবা মেডিক্যাল সেন্টার ও হসপিটালের মালিক, ডাক্তার এবং কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক আচরনে অতিষ্ঠ সেবা প্রার্থী জনগন। উক্ত হাসপাতালে প্রশিক্ষিত কোন নার্স, দক্ষ প্যাথলজিক্যাল টেকনিশিয়ান নেই। পরীক্ষা নিরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি নিম্নমানের। তারপরেও পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য উচ্চ মূল্য নিয়ে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের সাথে ডাক্তার, মালিক ও স্টাফরা অশালীন আচরণ করে সবসময়।ফলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার সেবা ভোগীরা। আসিফ আল শেখ এর মালিকানাধীন স্বাস্থ্য সেবা মেডিক্যাল সেন্টার ও হসপিটালটি পূর্বে শুধু একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ছিল। বর্তমানে তা পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে পরিনত হয়েছে।এ ব্যাপারে অনেকেই বলাবলি করছে হাসপাতাল পরিচালনার জন্য পরিপূর্ণ কাগজপত্রের অভাব রয়েছে। হাসপাতালের মালিক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয়, টেকনিশিয়ান কেউই রোগীদের প্রতি ভালো আচরণ করে না। সময়ে সময়ে রোগীদের প্রতি সন্ত্রাসী আচরণ করে বলেও জানাযায়। আর এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড গুলো ঘটান হাসপাতালের মালিক আসিফ আল শেখের ছোট ভাই সাইফুল। সে রোগীদের সাথে যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করে। এমনকি রোগীদেরকে মারার জন্য উদ্ধত হয়। উক্ত হসপিটালে আবদুল্লাহ্ আল মামুন নামক এক অর্থোপেডিকস ডাক্তার বসেন।হারিছ নামে এক রোগী তাকে দেখাতে গিয়ে সিরিয়াল নিয়ে, কর্তৃপক্ষের কথা মতো রাত ৮টায় উপস্থিত হয়ে ব্যাথায় অস্থির হয়ে রাত ৩টায়ও ডাঃ আবদুল্লাহ্ আল মামুন কে দেখাতে না পেরে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। এমনভাবে হয়রানী হচ্ছে এলাকার শত শত রোগী। উক্ত হাসপাতালে গত ২৮শে নভেম্বর এক রোগীকে ভুল ইনজেকশন প্রয়োগ করলে বিবিরকান্দি গ্রামের ইয়াকুব আলী(৪২)মারা যায়। এ ব্যাপারে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিমাংশা করা হয় তাছাড়া হসপিটাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মজুফা নামের এক মহিলার মৃত্যু হয় বলেও জানাযায়। যা অত্র এলাকাবাসীর মুখে মুখে প্রচারিত রয়েছে। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী মোঃ হারিছ মিয়া নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ থেকে উল্লেখিত ব্যাপার গুলো জানাযায়। এ ব্যাপারে হসপিটাল এর মালিক আসিফ আল শেখ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, একটি হসপিটাল পরিচালনা করতে যতগুলো কাগজপত্র প্রয়োজন তার বেশিরভাগ কাগজপত্র তার রয়েছে, কিছু কাগজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে পরিবেশের কোন ছাড়পত্র তার নেই, এটাও পক্রিয়াধীন বলে জানান। ভোক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবী যথাযথ কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হাসপাতালটি দ্বারা যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। ভূক্তভোগী সাধারন জনগন হাসপাতালের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ।
Previous Articleআড়াইহাজারে ধর্ষণের ভিডিও ব্লাকমেইলের মামলায় ধর্ষক গ্রেফতার
আড়াইহাজার টাইমস
আড়াইহাজার টাইমস হলো সবচেয়ে দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া ওয়েব পোর্টাল। আড়াইহাজারের সমস্ত সংবাদ সবার আগে পেতে আড়াইহাজার টাইমস ডট কম এর সাথেই থাকুন।
