আড়াইহাজার টাইমস অনলাইন নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ করতে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশকে যৌক্তিক বলে মনে করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, সরকারেরও এই ধরনের প্রস্তুতি আছে। যেকোনো সময় সরকার তা ঘোষণা দেবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া এবং জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করেছে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।বৃহস্পতিবার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। আগের দিন বুধবার রাতে কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়
বর্তমানে সারা দেশে বিধিনিষেধ চলছে, যা ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা। এ ছাড়া করোনার বিস্তার রোধে ঢাকার আশপাশের সাতটি জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থার মধ্যে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সারা দেশে সম্পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশ করেছে।
শাটডাউন বলতে কী বোঝানো হয়েছে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, ‘শাটডাউন মানে হচ্ছে সবকিছু বন্ধ থাকবে, শুধু জরুরি সেবা ছাড়া। অফিস-আদালত, বাজারঘাট, গণপরিবহনসহ সব বন্ধ থাকবে। সবাই বাসায় থাকবে।’
অধ্যাপক সহিদুল্লাহ বলেন, ‘দিল্লি এবং মুম্বাইতে শাটডাউন দিয়ে ফলাফল পেয়েছে। সেখানে ছয় সপ্তাহ গণপরিবহন বন্ধ ছিল, এছাড়াও দিল্লিতে আরও ছিল তিন সপ্তাহ। দিল্লিতে প্রতিদিন একসময় ২৮ হাজার শনাক্ত হতেন, কিন্তু এখন সেখানে ১৫০ শনাক্ত হচ্ছেন। মৃত্যুও কমে এসেছে।
কমিটির সুপারিশের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আলোকে বলেন, যেহেতু করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, সে জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবেও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় সেটি চলছে। সেখানে তা কার্যকরও হচ্ছে। এখন ঢাকার চারপাশের সাত জেলাতেও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সরকার কিছুদিন ধরেই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এখন জাতীয় পরামর্শক কমিটি যে সুপারিশ করেছে, সেটি যৌক্তিক।
সরকারেরও ইতিমধ্যে এই ধরনের প্রস্তুতি আছে। সরকারও কঠোর বিধিনিষেধের চিন্তাভাবনা করছে। যেকোনো সময় সরকার তা ঘোষণা দেবে। দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। পরে তা আরও ২ দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও ৮ দফা বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। এর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়েও বিভিন্ন এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।