নিজস্ব প্রতিবেদক: কদিন পরপরই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে, কখনো চাল, কখনো তেল, কখনো বা পেঁয়াজ, চিনি, ডাল, মশল্লা, কিছুতেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না, সরকারের নিয়ন্ত্রণ কোথায়, ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধি অনেকটা অস্বাভাবিক ৮৮ টাকা লিটার সয়াবিন তেল ১৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বোতল প্রতি লিটার ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। দেখা যাচ্ছে, প্রতি সপ্তাহে কোনো কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ধীরে ধীরে বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ওঠানামা করলেও তার প্রভাব আমাদের বাজারে তা মুল্যহীন। আর দাম একবারের বাড়তে থাকলে সেটা সহজে কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। আবার দেখা গেল আমদানিকারক বা পাইকারে কিছুটা দাম কমলেও খুচরা বাজারে তার প্রভাব সহজে পড়ে না। দফায় দফায় ভোক্তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে অবিশ্বাস্য মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে সকল স্তরের ব্যবসায়ী। মোটা চালের দাম বেশ কিছুদিন থেকে বাড়তি হলেও কমার কোনো লক্ষণ নেই যদিও চাল এখন আমদানি শুরু হয়েছে। বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না।
ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যেভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ কিংবা দ্রব্যমূল্য বাড়ায়, সরকারের সেখানে কিছুই করতে পারে না।
গত ১ বছরে দেশে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩২ শতাংশ। পাম অয়েলে ২২.৮৪ শতাংশ। বাংলাদেশে গত ১ বছরে চালের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। সরকার নিকট অতীতে আলু, পেঁয়াজ, তেলের দাম বেঁধে দিলেও ব্যবসায়ীরা তা মানেনি।
দেশে এই যে ক্রমাগত নিত্যপণ্যের দাম বাড়তির দিকে, এর ফলে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। করোনার কারণে অনেকের জীবিকার সংস্থান নেই, চাকরি চলে গেছে বিপুল সংখ্যক মানুষের। এ পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের চাপে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে আমাদের দেশের মতো দ্রব্যমূল্য এত দফায় দফায় বাড়ার নজির আছে কি! ব্যবসায়ীরা নানা কায়দা করে সুবিধা বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টায় আছে কিন্তু ভোক্তাসাধারণের দ্রব্যমূল্যের চাপ থেকে কখনো রেহাই নেই। সামনে রমজান, এ সময় নিত্যপণ্যের চাহিদা বাড়তি থাকে। করোনার বিরূপ প্রভাবও আছে। বাজার মনিটরে প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা ব্যাবসায়ীদের নৈতিকতা পরিবর্তন ছাড়া দ্রব্য মুল্যের এই পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানা সম্ভব হবে কি?