নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের,বন্দর উপজেলার ৩ ইউনিয়ন মুসাপুর,মদনপুর,ধামগড় যেখানে চোখ খুললেই বৈধ অবৈধ ইটভাটার ছড়াছড়ি,বিলুপ্তির পথে কৃষি।
এখানে বেশিরভাগ ইটভাটার মালিকানায় স্থানীয় নেতা ও জন প্রতিনিধিরা যার কারনে সাধারণ মানুষ যতই জুলুমের স্বীকার হোক ন্যায্য বিচার পায়না কখনোই।অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিপিড়ীত জমির মালিকরা ভয়ে বিচার পর্যন্ত চাইতে পারেনা,প্রতিবাদ করলেই আবারো বিভিন্ন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।
মাটি ব্যাবসায়ীদের সাথে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকে স্থানীয় সাংবাদিক,প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের তাই যত বড় অপরাধ করুক উলটো ভুক্তভোগীদের রাখা হয় হুমকির মুখে।
ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অনেক জায়গায় যেখানে একপাশে চলছে কৃষি ঠিক অন্যপাশেই ব্যাকু দিয়ে কেটে নেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি আর একসময় এই কেটে নেওয়া মাটির গর্তেই আবার বেচে যাওয়া ফসলি জমি ফেলে দিয়ে নাম মাত্র মূল্যে মাটি না হয় জমি কিনে নিয়ে যায় ব্রিকফিল্ড মালিকরা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে মাজেমধ্যে জরিমানা গুনেন মালিকরা কিন্তু সেটা এই মাটি দূর্নীতির জন্য না অন্য সব নিয়ম ভংগের কারনে।
মাটি নিয়ে দূর্নীতিকে নিজের কাদে না নেওয়ার জন্য জনপ্রতি ও প্রভাবশালী নেতারা কাছের কাউকে নামমাত্র কন্টাক্টর সাজিয়ে নিজের অপকর্ম আড়াল করেন সুকৌশলে।
সম্প্রতি ধামগড় ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের MBC ব্রিকফিল্ড মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন সুপরিকল্পিত ভাবে বাড়ি ও বড় বড় গাছ সহ পুকুরে ফেলে দিয়ে বাড়ির মালিককে বিভিন্নভাবে বাধ্য করছেন জমি বিক্রিতে দিচ্ছেনা ক্ষতিপূরণ,ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া প্রায় শেষের পথে।জমির মালিক বিভিন্ন জনের কাছে বিচারের জন্য গেলেও পায়নি বিচার পেয়েছেন নিরব হুমকি সমজোতার প্রস্তাব।
একদিকে কৃষক তার শেষ সম্বল জমি ও বাড়ি হাড়িয়ে কান্না অন্যদিকে মাটি পুড়িয়ে রাতারাতি আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে অনেকে।
স্থানীয় প্রশাসনের সঠিক নজরদারি,জনপ্রতিনিধিদের একটু সহানুভূতি প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।