আড়াইহাজার প্রতিনিধি: আড়াইহাজার উপজেলার সরকারী সফরআলী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র শরীফের মৃতদেহ লক্ষীপুরের রায়পুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত শরীফ উপজেলার চৈতনকান্দা গ্রামের জমা গাজীর ছেলে।
রোববার ( ১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩ টায় রায়পুর থানা পুলিশ রায়পুর মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় শরিফকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মারা যায়। সংবাদ পেয়ে শরিফের পরিবারের লোকজন সোমবার সন্ধ্যায় রায়পুর থানা থেকে লাশটি পুলিশের মাধ্যমে লক্ষীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যান এবং ময়না তদন্ত শেষে রাতেই বাড়ীতে নিয়ে আসে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে, রায়পুর এলাকার জনৈক সুমাইয়ার সাথে তার লক্ষীপুরের একটি কলেজে ভর্তির আবেদন করার সুবাধে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু পরে শরিফ আড়াইহাজার সরকারী সফর আলী কলেজে তার ভর্তিটি স্থানান্তর করে। এর পর থেকে সুমাইয়া তাকে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে সুমাইয়ার বাড়ীতে যেতে বলে। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে শরিফ কলেজে যাবার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়ে আর বাড়ীতে ফিরে যায়নি। তার পরিবারের দাবী সুমাইয়ার ফোন পেয়ে সে ওই দিনই রায়পুরে যায় এবং সেখান থেকে লাশ হয়ে বাড়ীতে ফিরে। শরিফের মা, এবং বোন বলছেন, সুমাইয়া শরিফকে তার বাড়ীতে নিয়ে তার পরিবারের লোকদেরকে দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা জানান, লাশ গোসল দেয়ার সময় তারা শরীফের অন্ডকোষসহ দেহের বিবিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে । শরীফের জানাজায় তার সহপাঠিসহ অসংখ্য লোক শরিক হয়। তারা প্রয়োজনীয় ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শরিফের মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেন। যদি তাকে হত্যা করা হয়ে থাকে তা হলে দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিৎ করার ও দাবী জানান তারা।
এ ব্যাপারে রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে এস আই সুলতান মাহমুদ রায়পুর মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে থেকে শরীফ কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, শরিফকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মৃত্যুর আগে পুলিশকে জানায, রায়পুর এলাকার এক মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে সে রায়পুর যায় এবং প্রেম ঘটিত কারণে সে বিষ পান করেছে।
ওই থানার এস আই সুলতান মাহমুদ জানান, শরিফ নিজেই বিষপান করেছে বলে তার কাছে বলেছে। শরিফের মৃত্যুর পর লাশ রায়পুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওই থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।